গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি গ্রুপ প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা তাদের হাতে আটক দুই ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেবে। এই দুই বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা কিছুটা কমে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসলামিক জিহাদ যে দুজনকে মুক্তি দিতে চাচ্ছে, তারা হলেন এক বয়স্কা নারী এবং একটি শিশু। নারীর নাম হানা কাতজির, বয়স ৭৭ বছর। ছেলেটির নাম ইয়াজিল ইয়াকুব, বয়স ১২ বছর। উভয়কেই কিবুজ নির ওজ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইয়াকুবের বাবা, তার বাবার পার্টনার এবং তার ভাই ওর (বয়স ৬)-ও বন্দী রয়েছে।
আনঅফিসিয়াল চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে কাতজির ও ইয়াকুবকে ইসরাইলিদের উদ্দেশে কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিওতে ওই নারী বলেন, ‘আমি হানা কাতজির, কিবুজ নির ওজের বাসিন্দা। আমি আশা করি, সবাই ভালো আছেন। আমি এখন এমন এক স্থানে আছি, যা আমার নয়। আমি আমার বাড়ি, আমার সন্তান, আমার স্বামী রামি এবং আমার প্রিয় পরিবার সদস্যদের মিস করছি। আমি আপনাদের বলছি যে আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমি আশা করি, আগামী সপ্তাহে আপনাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারব।’
ভিডিওতে দেখা যায়, কাতজির এরপর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই ঘটনা এবং আমাদের নিজেদের মধ্যে বিবাদের জন্য সেই দায়ী। তার কারণেই আমাদের সন্তানরা মারা যাচ্ছে। সে অনেক ভুল করেছ, তার প্রভাব আমাদের সমাজে এবং অন্যদের ওপর পড়েছে।’
অন্য দিকে ইয়াকুব বলেন, ‘হ্যালো। আমার নাম ইয়াজিল ইয়াকুব। আমি পাগলের মতো আমার পরিবার, আমার বন্ধুদের মিস করছি। আমি তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি। আমাদের প্রতি সমর্থন প্রদানের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নেতানিয়াহুকে বলতে চাই, এসব বিস্ফোরণ স্রেফ পাগলামি। আপনি আমাদের বন্দীদের হত্যা করছেন। আপনি পানি, বিদ্যুৎ, ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা বন্দীদের এগুলোর দরকার।’
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাস, ইসলামিক জিহাদ এবং অন্যরা অন্তত ২৪০ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে। হামাস দুই দফায় মোট চারজনকে মুক্তি দিয়েছে। এখন যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আরো কয়েকজনকে মুক্তি দেয়া হতে পারে। কাতারের মধ্যস্ততায় এখন ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আপনার মন্তব্য: