ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক সৌদি প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা জমির ওই ধান কেটে নিয়ে যায়।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই সৌদি প্রবাসী।
মো: দবির মোল্লা নামে ওই সৌদি প্রবাসী অভিযোগ করেন, উপজেলার ৩ নম্বর আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের মহিষারঘোপে তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৪৫ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমি তার বাবা গৌর শঙ্কর ঘোষের কাছ থেকে ক্রয় করেন। দবির মোল্লা দাবি করেন, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা ছিল। এসব মামলায় তার পক্ষে রায় এসেছে। কিন্তু তারা আদালতের রায়ও মানছেনা।
প্রায় এক যুগ ধরে ওই জমি পতিত ছিল। এ বছর তিনি সেখানে ধান রোপণ করেন। ধান পেকে উঠলে বুধবার সকালে আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা লোকজন নিয়ে ধান কাটতে আসেন। তিনি এ সময় ৯৯৯-এর জরুরি নম্বরে ফোন করলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই আকবর আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, এ সময় পুলিশের সামনেই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকেরা দবির মোল্লা ও তার স্ত্রী ফাহমিদা ইসলাম মুক্তাসহ পরিবারের ওপড়ে তেড়ে আসেন। তারা কারো কথায় কর্ণপাত না করে জমির সব ধান কেটে নিয়ে যায়।
প্রবাসীর স্ত্রী ফাহমিদা ইসলাম মুক্তা অভিযোগ করেন, এর আগে তারা জমির ওপর লাগানো আম ও পেপেসহ বিভিন্ন গাছের চারা কেটে ফেলে। তারা বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা করেছে। বর্তমানে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গ্রামেও থাকতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জমি আমাদের। আমার জমির ধান আমি কেটে নিয়েছি। দবির মোল্লা আমাদের জমিতে অন্যায়ভাবে ধান রোপণ করেন।
এ ব্যাপারে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা আলফাডাঙ্গা থানার এসআই আকবর আলী বলেন, কেটে নেয়া ধান ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে রেখে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ বসে মিটমাট করে নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এছাড়া কোনো লিখিত অভিযোগ করা হলে সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য: