ওমানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত বিভিন্ন প্রদেশে ব্যাপক প্লাবনের সৃষ্টি করেছে। সময় গড়ালে এই অবস্থার আরও অবনতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপকূলের কাছাকাছি এলাকাগুলোয় ঝড়ের তীব্রতা অনেক বেশি, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। একইসাথে উত্তাল সাগরের উপকূলে ৮-১১ মিটারের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ওয়াদি ও উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঝুঁকি এড়াতে
সিভিল এভিয়েশনের তরফ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে সালালাহ,আদুনাব , হালানিয়াত আইল্যান্ড এবং উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। ধোফারে ১৫ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার সাইক্লোন সেল্টার আছে ৭৯ টি। এরমধ্যে ৩০টি সাইক্লোন সেল্টারে নাগরিক ও প্রবাসীসহ ৪৪৭১ জন অবস্থান করছেন।
রোববার রাত থেকেই ধোফার ও আল উস্তায় ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। আবহাওয়া বিভাগ ও জাতীয় জরুরী ব্যবস্থাপনা বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়টি ওমান সাগরের উপকূল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে সালালাহ, সাদাহসহ অন্যান্য প্রদেশেও বর্ষণ ভারী হচ্ছে। পূর্ভাবাস অনুযায়ী, সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের দিকের সময়ে ওমানের ধোফার হয়ে ইয়েমেনের মাহরা অঞ্চল অতিক্রম করবে তেজ। মঙ্গলবার পশ্চিম ধোফার অতিক্রম করার সময় থেকে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে। সকালের পর তা আরও দুর্বল হয়ে ইয়েমেনের দিকে চলে যাবে। এরপর সেদিনই উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসার কথা।
এদিকে তেজের প্রভাব কিছুটা কমতে শুরু করায় ঘূর্ণিঝড়টিকে ক্যাটাগরি ১ এ বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে বাতাসের গতিবেগ এবং শক্তি বিবেচনায় বিভিন্ন সময়ে তেজকে ক্যাটাগরি ২, ৩ ও ৪ এ বিবেচনা করা হয়
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post