হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইসরাইলের সঙ্গে বহু ভারতীয় যোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত নওর গিলন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি।
নওর গিলন বলেন, বহু ভারতীয় ইসরাইলের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন, এ জন্য তিনি বেশ আপ্লুত। হামাসের সঙ্গে তার দেশের চলমান যুদ্ধে যোগ দিতে বহু ভারতীয় ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
নওর গিলন আরও বলেন, ‘এত সংখ্যক ভারতীয় এ যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়েছেন, যা দিয়ে আরও একটা বাহিনীই বানিয়ে ফেলা যায়। কিন্তু এত সংখ্যক ভারতীয় কেন যুদ্ধে যেতে চাইছেন বা ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করছেন – অনেকের মনেই এ প্রশ্ন ওঠেছে।’
গিলন বলেন, ‘আমার কাছে এটা খুবই আশাপ্রদ ঘটনা এবং খুবই আবেগের ব্যাপার। হামলা শুরুর প্রথম দিন শনিবার (৭ অক্টোবর) যখন পুরো চিত্রটাই পরিষ্কার হয়নি, সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে আমরা যে পরিমাণ সমর্থন পেয়েছি, তা ভোলার নয়। তিনি বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন, যিনি খুব স্পষ্ট ভাষায় এ হামলার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন। এটা আমরা কখনোই ভুলব না।’
ভারতের মন্ত্রী এবং বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান গিলন। এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সামাজিকমাধ্যমেও এর প্রভাব দেখুন, খুবই আশ্চর্যজনক! সবাই আমাকে বলছে যে, আমি স্বেচ্ছাসেবক হতে চাই এবং আমি ইসরাইলের পক্ষে লড়াই করতে চাই। শক্তিশালী এ সমর্থন নজিরবিহীন।’
ইসরাইলে হামাসের হামলা শুরুর পরপরই এর নিন্দা জানিয়ে ইসরাইলিদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর সংঘাতের সবশেষ পরিস্থিতি অবহিত করতে ‘বন্ধু’ মোদিকে ফোন করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক টুইটে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনে আলাপ হয়েছে। নেতানিয়াহু তাকে চলমান সংঘাতের সবশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post