মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য হাফেজ ও হাফেজার মাধ্যমে পবিত্র কোরআন হেফাজত করেছেন। যাদের তিনি বিশেষভাবে ভালোবাসেন, কেবল তারাই কোরআন হিফজ করতে পারেন। বাংলাদেশেও অসংখ্য হাফেজ ও হাফেজা রয়েছেন। যাদের অনেকে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এমন-ই দুই কীর্তিমান নারী হলেন- আয়শা সিদ্দিকা ও খাদিজাতুল কুবরা। তারাও এমন এক হাফেজা মায়ের সন্তান, যিনি একাধিকবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় পুরষ্কৃত হয়েছেন।
মায়ের কাছ থেকেই আলিফ থেকে শুরু করে হিফজ সম্পন্ন করেছেন আয়শা ও খাদিজা। নারী বলে ঘরেই বসে থাকেননি দুই বোন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা মঞ্চে অংশ নিয়েছেন এবং মায়ের মতো তারাও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন একাধিকবার। এখনো তারা সুনামের সাথে পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। এই দুই বোনের বয়স যখন খুবই কম, তখনই তারা পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু ছোট হওয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতার বিশ্ব মঞ্চে তখন উপস্থিত হতে পারেননি তারা।
তবে কোভিড এবং অন্যান্য জটিলতা যখন শেষ, তখন খাদিজাতুল কুবরা একাধারে রাশিয়ার কাজানে এবং ইরানে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের সাথে বিজয়ী হন এবং সেখানকার মালয়েশিয়ান একটি সংগঠন ৬৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন মেমোরাইজেশন সেক্টরের জন্য তাকে নির্বাচিত করে এবং বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানায়। এই প্রতিযোগিতায়ও খাদিজাতুল কুবরা ৫২টি দেশের ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিজয় অর্জন করে দেশের সুখ্যাতি বৃদ্ধি করেন।
আর তার বোন আয়েশা সিদ্দিকা দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা এবং ইরানে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে এক উচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার গৌরব অর্জন করেন। নারী হওয়ায় তাদের এই বিজয়যাত্রা বেশ কষ্টকর ছিল কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে লক্ষ্যপানে এগিয়ে গেছেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post