ইরানে নারীদের ইসলামি পোশাক পরিধানের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে ইরান সরকার। যেসব নারী ইসলামিক পোশাকবিধি লঙ্ঘন করবে, তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে- এমন বিধান রেখে সংসদে বিল পাস করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিন বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এ সম্পর্কিত একটি বিল পাস হয়ে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ‘হিজাব ও শুদ্ধতার সংস্কৃতির পক্ষে সমর্থন’ নামে আনা বিলটি এখন দেশটির ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’ থেকে অনুমোদন পাওয়া বাকী। অনুমোদন পেলেই তা আইনে পরিণত হবে।
ইরানের বাধ্যতামূলক ইসলামি পোশাকবিধি অমান্য করার অভিযোগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মাসা আমিনিকে আটক করে দেশটির নীতি পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। মাসার মৃত্যুর জেরে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক দমন–পীড়ন চালায়। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা জানায়। বিক্ষোভের ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত ও হাজারো মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে।
এসব বিক্ষোভের পর থেকে দেশটিতে নারীদের মধ্যে কঠোর পোশাকবিধি মেনে চলার প্রতি উদাসীনতা বেড়েছে। খসড়া আইনে বলা হয়, ‘বিদেশি সরকার বা বৈরী সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর সরকার, গণমাধ্যম বা বিভিন্ন গ্রুপ বা সংস্থার প্ররোচনায়’ নারীরা মাথায় স্কার্ফ বা যথাযথ পোশাক পরিধান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এসব নারীর ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইসলামি বিপ্লবের পর প্রজাতন্ত্রের শুরুর দিকের বছরগুলো থেকে ইরানে নারীদের মাথা, গলা ও ঘাড় ঢেকে চলা বাধ্যতামূলক। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যেসব নারী পোশাকবিধি অমান্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। এমনকি যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নারীরাও এই বিধির প্রতি উদাসীনতা দেখান, সেসব প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জনপরিসরে কেউ এই বিধি অমান্য করে কি না, তা দেখতে নজরদারি ক্যামেরা বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post