ডলারের জন্য ঘোষিত হারের তুলনায় বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর আগের ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়নি। তাই গত সোমবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছর ডলারের দাম নিয়ে কারচুপির দায়ে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে কেন জরিমানা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলারের জন্য ঘোষিত হারের তুলনায় বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর আগের ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়নি। তাই গত সোমবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ১০৯(৭) ধারা অনুযায়ী কেন ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এই ধারায় বলা আছে, আইন লঙ্ঘনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারে। চিঠি পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো—সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসব ব্যাংক ঘোষিত হারের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করেছে।’ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম রিয়াজুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দেব।’ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা বেশি দামে ডলার দিয়ে এলসি খুলতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। ডলার কারচুপির অভিযোগে ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়।
গত বছর ডাচ্-বাংলা, প্রাইম, সিটি, সাউথইস্ট, ব্র্যাক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এনসিসি, এইচএসবিসি, মার্কেন্টাইল, ঢাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও ব্যাংক এশিয়াসহ ১২ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। এরপর ডাচ-বাংলা, সাউথইস্ট, প্রাইম, সিটি, ব্র্যাক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডকে তাদের ট্রেজারি প্রধানদের মানবসম্পদ বিভাগে বদলি করার নির্দেশ দিলেও পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। গত বছর থেকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ও এবিবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনানুষ্ঠানিক নির্দেশে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
গত ৩১ আগস্ট প্রতিষ্ঠান দুটি সেপ্টেম্বর থেকে অভিন্ন বিনিময় হার কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেসময় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনে ১১০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post