চীন সরকার আইফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে—এমন খবর প্রকাশের পর গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাপলের শেয়ার ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে। দুই দিনে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি হয়েছে ২০০ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাপলের পণ্যের অন্যতম বড় বাজার চীন। অ্যাপল গত বছর মোট আয়ের প্রায় এক পঞ্চমাংশই আয় করেছে চীনের বাজার থেকে। অ্যাপল দেশ অনুযায়ী আইফোন বিক্রির তথ্য প্রকাশ করে না, তবে গবেষণা সংস্থা টেকইনসাইটসের বিশ্লেষকরা অনুমান করেছেন, গত ত্রৈমাসিকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীনে বেশি আইফোন বিক্রি হয়েছে। অ্যাপল তাদের বেশিরভাগ আইফোন চীনা কারখানায় তৈরি করে। বুধবার মার্কিন সংসবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, চীন সরকারি কর্মকর্তাদের আইফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যবস্থাপকেরা তাঁদের কর্মীদের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিভিন্ন চ্যাটিং গ্রুপ ও মিটিংয়ের মাধ্যমে অবহিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, আইফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞাটি প্রধান প্রধান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। যেমন পেট্রোচায়না। এই প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক লাখ মানুষ কাজ করেন। এছাড়া চীনের অর্থনীতির বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে পেট্রোচায়না। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরা গতকাল এক নোটে লিখেছেন, চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাজারে একটি নতুন স্মার্টফোন এনেছে। এটিকে জনপ্রিয় করতে আইফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোনের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান বলেন, চীনের নতুন স্মার্টফোনটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। চিপের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চীনা প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করেছে কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post