সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক মানতে ফিলিস্তিনের যে শর্ত

মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ ইসরায়েলকে এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সফল হয়েছে ইসরায়েল। এবার মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তেল আবিব। তবে বিষয়টি ফিলিস্তিনিরা কীভাবে দেখছে তার ওপর সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক কতটা স্বাভাবিক হবে তা নির্ভর করছে। এ ধরনের সম্পর্ক মেনে নিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে দাবি-দাওয়ার একটি তালিকা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিবিসি জানায়, গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মাজেদ ফারাজ ও হুসেইন আল-শেখ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে রিয়াদে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে ফারাজ পিএর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান, আর আল-শেখ ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্জানাইজেশনের (পিএলও) সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে বৈঠকে সৌদি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ আল-আইবান।

বুধবার ফিলিস্তিনের যে প্রতিনিধি দল রিয়াদ সফর করেছে তাঁরা গত সপ্তাহে জর্ডানের রাজধানী আম্মান সফর করেন। সেখানে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবারা লিফের সঙ্গেও বৈঠক করেন। উভয় বৈঠকে ফিলিস্তিন যেসব শর্তের তালিকা দিয়েছে তা হলো –

1. ১. ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। এসব অঞ্চলকে ১৯৯০ সালের অসলো শান্তি চুক্তিতে ‘সি’ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
2. ২. পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। সৌদি সহায়তা কার্যক্রম ফের শুরু করতে হবে, যা ২০১৬ সাল থেকে মন্থর হয়ে পড়ে। ২০১৯ সাল থেকে একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে।
3. ৩. অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
4. ৪. ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি আলোচনা আবার শুরু করতে হবে। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই তা শুরু করতে হবে।

ফিলিস্তিনিদের এসব দাবি পূরণ করা না হলে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় করা সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির অংশ হতে চাইবে না। কারণ ফিলিস্তিনিদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আরবদের সমর্থনই সবশেষ ভরসা। তাই ইসরায়েল-সৌদি যখন ঐতিহাসিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে তখন দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছে ফিলিস্তিনিরাও।

আরও দেখুন:

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।