একসঙ্গে ৭২টি প্লেন কেনার ঘোষণা দিয়ে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া রিয়াদ এয়ারের চোখ এখন বাংলাদেশের আকাশপথে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইট অপারেশন শুরু করার আগেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, সম্প্রতি সৌদি আরবের সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ ও সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহর বাংলাদেশে এসে বেবিচক ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এসময় দুদেশের মধ্যে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধিসহ ঢাকা থেকে সৌদির সব শহরের বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতির বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেসময় সৌদির প্রতিনিধিরা বেবিচকের সঙ্গে রিয়াদ এয়ারের ফ্লাইট শুরুর বিষয়ে আলোচনা করে এবং অপারেশন শুরুর পরপরই বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনার কথা জানায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সৌদির পক্ষ থেকে একটি এয়ারলাইন্স (রিয়াদ এয়ার) বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বেবিচককে কিছুই জানায়নি।’ সৌদির দ্বিতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স রিয়াদ এয়ার এখনো অপারেশন শুরু করেনি। ২০২৪ সালে ফ্লাইট পরিচালনার শুরু থেকে পুরোদমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা তাদের।
বেবিচকের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে রিয়াদে সপ্তাহে সাতটি, দাম্মামে সাতটি, মদিনায় সাতটি এবং জেদ্দায় ১৪টি মোট ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। রিয়াদ এয়ার যদি বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের এই ৩৫টি ফ্লাইটের মধ্য থেকেই ফ্রিকুয়েন্সি ভাগ করে নিতে হবে। সৌদি এয়ারলাইন্সকে কিছু ফ্লাইট ছেড়ে দিতে হবে। তবে শোনা যাচ্ছে, আগামীতে বাংলাদেশ ও সৌদির ফ্লাইট ফ্রিকুয়েন্সি আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং রিয়াদ এয়ার কোনও ধরনের জটিলতা ছাড়াই ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
২০২৩ সালের ১২ মার্চ বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে সমানতালে প্রতিযোগিতা করতে রিয়াদ এয়ারের ঘোষণা দেন সৌদি বাদশাহ ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। রিয়াদ এয়ারের মালিকানায় রয়েছে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইফ)।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post