রবিবারই চাঁদের মাটিতে পা রাখার ১২ দিন পূর্ণ করবে চন্দ্রযান ৩ (Chandryaan 3)। আর তারপরই ঘুমের দেশে চলে যাচ্ছে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। কিন্তু স্লিপ মোডে চলে যাওয়ার আগে তারা তাদের কাজ করে দিয়েছে। লাগাতার নানা তথ্য পৃথিবীকে পাঠিয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান। আর সেই সমস্ত তথ্য একসূত্রে বাঁধলে একটি বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। যতটা ভাবা গিয়েছিল, তার চেয়েও বেশি বাসযোগ্য চাঁদ (Moon)।
আসলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার মূল কারণ ছিল, ওই অঞ্চল বসবাসের যোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখা। আর সেখানেই মিলছে সবুজ সংকেত। চাঁদে কোনও আবহাওয়ামণ্ডল নেই। তাই দিনের সময় তার তাপমাত্রা পৌঁছয় ১২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবার রাতের বেলায় তা একেবারে শীতল হয়ে যায়। তখন তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ২৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের তাপমাত্রা মাপতে গিয়ে দেখেছে তাপমাত্রা চাঁদের উপরের ২ সেমি স্তরের নিচ থেকে ৮ সেমি নামতেই একলাফে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। এটা বসবাসের উপযুক্ত হওয়ার লক্ষণ।
তার উপর প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে অক্সিজেনের সন্ধান পয়েছে। যা থেকে পরিষ্কার, চাঁদে বাড়ি তৈরি করতে গেলে তা বরফের স্তরের কাছে করতে হবে। বরফ সর্বত্র নেই। কিন্তু মাটি তো সর্বত্রই। এছাড়াও চাঁদের মাটিতে মিলেছে সালফার, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও অ্যালুমিনিয়ামও। এই সব তথ্য চাঁদকে বসবাসের উপযুক্ত করে তুলছে। ফলে চন্দ্রযানের সাফল্য় পৃথিবীর উপগ্রহকে নিয়ে ধারণাকে আরও মজবুত করে তুলল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post