বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আছেন মধ্যপ্রাচ্যে। পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষ-অদক্ষ যুবকরা। তার মধ্যে কুয়েতে অনেক প্রবাসীর বৈধ আকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে অবৈধ হয়ে ঘুরছেন। কাজ না থাকায় প্রতিমাসে নিজের থাকা খাওয়াও খরচ জোগাড় করতেও কষ্ট হয়ে পড়েছে তাদের। কাজ চালু না হওয়ায় অনেক কোম্পানি শ্রমিক ছাটাই করে দিচ্ছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
কুয়েতে শোন ১৮ নং আখদ ক্লিনিং ভিসা ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকায় কিনে সেখানে গিয়ে মাসে ৭৫ দিনার বেতনের চাকরিতে থাকার খরচ মালিক বহন করলেও খাওয়া খরচসব যাবতীয় খরচ নিজেকে বহন করতে হয়। অনেক কোম্পানিতে আসার ২ থেকে ৩ বছর পর কাজের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। পুনরায় একই কোম্পানিতে অথবা অন্য কোম্পানিতে আকামা নবায়নের খরচ জোগাড় করতে না পেরে অবৈধ হয়ে পড়ছেন অনেকে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়ে জেল জরিমানা দিয়ে আর ফিরতে পারবে না এই শর্তে ফেরত যাচ্ছেন দেশে।
জানা গেছে, দালালদের লোভনীয় সুযোগ সুবিধার কথার ফাঁদে পড়ে ভিজিট ভিসা ও কাজ নেই এমন ভুয়া কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার পর বিপাকে পড়ছেন অনেক প্রবাসী। দালালের কথামতো সঠিক কাজ না পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন।
কমিউনিটির বিশিষ্ট জনরা মনে করেন, দালালের কথায় প্রলুব্ধ না হয়ে ভিসা কেনার আগে ওই দেশের ভিসার ধরণ ও কাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিচিত জনদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া জরুরি। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে খোঁজখবর নেওয়া আরও সহজ। পরিবেশ পরিস্থিতির খোঁজ খবর না নিয়ে চলে আসার কারণে বেশি বিপদে পড়ছেন বেশিরভাগ বাংলাদেশি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post