বর্তমানে খোলাবাজারে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডলার। ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো ডলারের দর বাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ৬ টাকা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় বিশেষ পরিদর্শনে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। এ ছাড়া ১০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট ) এসব মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অসত্য রিপোর্ট ও নিয়মিত রিপোর্ট না করায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। লাইসেন্স স্থগিত করা প্রতিষ্ঠানগুলো– ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি চেঞ্জিং হাউজ, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ।
বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আরও ১০টি মানি চেঞ্জারের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো– নিউ প্রাইম মানি চেঞ্জার, উত্তরা মানি চেঞ্জার, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, যমুনা মানি এক্সচেঞ্জ, পাইওনিয়ার মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, স্কাফ মানি চেঞ্জার, হযরত খাজা বাবা মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ এবং মাতৃক মানি চেঞ্জার।
উল্লেখ্য, মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে ডলার কেনাবেচায় ব্যাংকের তুলনায় মানি চেঞ্জারগুলো সর্বোচ্চ এক টাকা পার্থক্য রাখতে পারবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ১১১ টাকা ৫০ পয়সায় নগদ ডলার বিক্রি করছে। সেই হিসেবে মানি চেঞ্জারে ডলারের সর্বোচ্চ দর হওয়ার কথা ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। তবে, গত সপ্তাহে এসব প্রতিষ্ঠানে ডলারের দর ১১৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post