স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরবাড়িতে লাশ রেখে পালাতে গিয়ে এক প্রবাসী পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন।। অভিযুক্ত স্বামী সাইফুল ইসলাম বাহরাইন প্রবাসী। নিহত স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের কাজী শফিকুর রহমানের মেয়ে। গেলো শনিবারের ওই ঘটনার পর পালিয়ে বিদেশ যাওয়ার সময় স্বামী সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টুম্পার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টুম্পার বাবা কাজী শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামাতা সাইফুল ইসলাম গত ২৮ জুলাই বাহরাইন থেকে দেশে আসেন। এ সময় টুম্পা আমাদের বাড়িতে ছিল। দেশে এসে প্রথম দুই দিন জামাই তাই আমাদের বাড়িতেই ছিলেন। শনিবার দুপুরের খাবার খেয়ে টুম্পাকে নিয়ে পাশের গ্রামের নিজ বাড়িতে যান সাইফুল। কিন্তু সন্ধ্যার কিছু আগে টুম্পাকে অচেতন অবস্থায় একটি অটোরিকশায় করে আমাদের বাড়ির সামনে নিয়ে আসেন। এসে বলেন– আপনাদের মেয়ে অসুস্থ তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। আপনারা আমার সঙ্গে আসেন। এ সময় টুম্পার মা নাসিমা বেগমসহ এক আত্মীয় মেয়েকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে চিকিৎসক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করলেও সাইফুল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা নেবেন বলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং ঘরে রেখে উধাও হয়ে যান।’ নাসিমা বেগমের ভাষ্য, তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই টুম্পার লাশ ঘরে রেখে পালিয়ে যায় সাইফুল। তাঁর মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বাড়িতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে সাইফুল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলেমান বাদশা জানান, ওই গৃহবধূ হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কালো চিহ্ন রইয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post