তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে ৯৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোটগণনা শেষে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে। তবে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।
সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ। এছাড়া অপর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগান পেয়েছেন ৫ দশমিক ২২ শতাংশ ভোট।
এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা তথা ৫১ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হতে চলেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় ধাপে। সেক্ষেত্রে আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন।
এরদোয়ান দাবি করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না, আমরা এখনও তা জানি না। কিন্তু দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি আমি।
রোববার (১৪ মে) রাতে রাজধানী আঙ্কারায় দলের সদর দফতরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা সবসময় জাতীয় ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। এ নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনেও আমরা জাতীয় ইচ্ছাকেই সম্মান জানাব।’
বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, এরদোয়ানকে এগিয়ে দেখাতে তার পক্ষে ভোট বেশি দেখানো হচ্ছে। কামাল কিলিচদারোগলুর শিবিরের এক জ্যেষ্ঠ নির্বাচনী কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘প্রথম দফায় হয়তো কেউই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না। তবে আমাদের উপাত্ত বলছে, কামাল এগিয়ে থাকবেন।
এদিকে তুরস্কের পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনে এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৪১ লাখ। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী ভোটার এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে দেশজুড়ে মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটার দুটি ভোট দিয়েছেন–একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এবং আরেকটি পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচনের জন্য।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post