বাবার কৃষি জমি বিক্রি ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে গাজী সোহাগ পাড়ি দিয়েছিলেন কুয়েতে। সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে চার বছর আগে তিনি শুরু করেন প্রবাস জীবন। তবে শেষ পর্যন্ত লাশ হয়ে ফিরলেন দেশে ও স্বজনদের কাছে।
গত ১৩ এপ্রিল কুয়েত সিটিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মারা যান সোহাগ। গত বুধবার তার মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। বাদ জোহর জানাজা শেষে স্থানীয় একটি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। নিহত গাজী সোহাগ শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর আব্দুর রহিমের ছেলে। একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকাহত অসহায় বাবা।
সোহাগের পিতা আব্দুর রহিম জানান, সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে শেষ সম্বল ২০ শতাংশ কৃষি জমি বিক্রি করে ও কয়েকটি সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ছেলেকে কুয়েত পাঠিয়েছিলেন। গত চার বছরে কিছু ঋণ শোধ করতে পারলেও ঋণমুক্ত হতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় নুরনগর ইউনিয়নের ( ইউপি) চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহমেদ জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারটি বিপদে পড়ে গেল।
আপনার মন্তব্য: