লাইসেন্স ছাড়া ট্যাক্সি ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ১ হাজার ৪৪০ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ওমানের পরিবহন, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (এমটিসিআইটি)। এছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের লাইসেন্স ছাড়া পণ্য পরিবহন ও ডেলিভারির ৫৪৬টি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে মন্ত্রণালয়। এটিও ওমানের রাজকীয় ডিক্রি দ্বারা জারি করা আইনের লঙ্ঘন। বুধবার (১২ এপ্রিল) এরাবিয়ান ডেইলির এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।
রাজধানী মাস্কাট থেকে একাধিক প্রবাসী আমাদের জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রাইভেট গাড়িতে পুলিশের চেকিং উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো গাড়িতে দুই জনের অধিক যাত্রী থাকলেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। পেপারস চেক করে যদি যাত্রী বহনের প্রমাণ পায়, তাহলে দুইশো করেন জরিমানা করা হচ্ছে। এই জরিমানার স্লিপও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ।
ওমানের আইন অনুযায়ী ট্যাক্সি চালানো শুধুমাত্র ওমানি নাগরিকদের জন্য বৈধ। প্রবাসীদের জন্য এই পেশা সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। এটি অনেক পুরনো আইন হলেই সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কঠোরতা লক্ষ করা গেছে দেশটিতে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী প্রবাসী চালকদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এগুলোর মধ্যে আছে- প্রবাসী চালককে তার পরিবার ব্যতীত অন্য কাউকে গাড়িতে তার সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি নেই।
প্রবাসী চালককে তার গাড়িতে বাণিজ্যিক পরিমাণে পণ্য পরিবহনের অনুমতি নেই। দোকান এবং রেস্তোরাঁর প্রবাসী মালিকদের পণ্য পরিবহনের অনুমতি নেই, তাদের অবশ্যই ডেলিভারি কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে হবে বা চালকের চাকরির সঙ্গে গাড়ির জন্য বাণিজ্যিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এই আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জরিমানা ২০০ রিয়াল এবং পুনরায় লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
অর্থাৎ কোনো ব্যবসায়ী চাইলেও তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল নিজ গাড়িতে বহন করতে পারবেন না। এজন্য তাকে কোনো ডেলিভারি কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে হবে এবং তাদের গাড়ি দিয়েই পণ্য বহন করতে হবে। মন্ত্রণালয় ওমান পরিবহন পরিষেবা থেকে উপকৃত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের স্থল পরিবহন আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post