স্ত্রীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে নিজের গলা কেটে নিজ কর্মস্থলে আত্মহত্যা করেছেন সৌদি আরবের জেদ্দা প্রবাসী ইমাম হোসেন। প্রবাসী ইমাম হোসেন কুমিল্লা বড়ুরার ১৩নং আদ্রা ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
নিহতের বড় বোনের স্বামী সৌদিআরব প্রবাসী আবুল কাশেম দিদার জানান, গত ২৭ মার্চ সোমবার সৌদি আরবের জেদ্দায় নিজ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ইমাম হোসেন আত্মহত্যা করেন।
দিদার জানান, স্ত্রীর পরকীয়া ও অবৈধ কর্মকাণ্ড মেনে নিতে না পেরে বিয়ের দুই মাসের মধ্যেই সৌদি আরবের আসার কয়েকদিন পর আত্মহত্যা করেন ইমাম হোসেন। তার মরদেহ বর্তমানে কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে চাঁদপুরের শাহারাস্থীর মালড়া ব্যাপারী বাড়ির মনসুর আলীর মেয়ের সঙ্গে সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই এক কাতার প্রবাসী সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইমাম হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার নপুরের।
বিয়ের পর ইমাম হোসেন জানতে পেরেও স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে আসছে, কিন্ত স্ত্রী সানজিদা ইমাম বিয়ের পর থেকেই খারাপ আচরণ করে আসছে।
সৌদিতে আসার আগের দিন নিজের ব্যবহারের মোবাইল না দেওয়ায় ইমাম হোসেনের গায়ে হাত তুলেন স্ত্রী সানজিদা। ওই ঘটনার পরেও ইমাম হোসেন তার স্ত্রীকে নিজের মায়ের কাছে রেখে সৌদি আরবে চলে আসেন। আসার দুই দিন পর স্ত্রী সানজিদা বাসা থেকে পালিয় চট্টগ্রাম চলে যায়।
চট্টগ্রামে পুলিশ থাকে আপত্তিকর অবস্থায় হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তার পরিচয় জানতে চাইলে সেই তার কাতার প্রবাসী ফুফাতো ভাইর পরিচয় দেয়, পুলিশ তার ফুফাত ভাইর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার বিস্তারিত জানান।
পরে ফুফাতো ভাই সৌদিআরবে ফোন করে ইমাম হোসেনকে ঘটনাটি জানান। ইমাম হোসেন ঘটনা সহ্য করতে না পেরে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে নিজের গলায় চুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post