পবিত্র রমজান মাসে একটা শ্রেণী আছেন, যারা সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও ভিক্ষা বৃত্তিতে নেমে পড়েন। ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল হিসেবে এই ভিক্ষাকে গণ্য করা হলেও কিছু মানুষ এটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে থাকেন। যদিও ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) রয়্যাল ওমান পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রবাস টাইমকে জানিয়েছেন, এবছর রমজানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র সালালাহ অঞ্চল থেকেই প্রায় ৮৪ জন ভিক্ষুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মূলত রমজান মাস আসলেই ভিক্ষাবৃত্তি বেড়ে যায়। ফলে, এর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও বেশি তৎপর হতে হয়।
পবিত্র রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে ওমানে। যারা ভিক্ষা করবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওমানের আইনে। দেশটির আইন অনুযায়ী, মসজিদ, রাস্তাঘাট, দোকানপাট অথবা জনসমাগম এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করলে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ১০০ ওমানি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। কোনো প্রবাসী এই অপরাধে যুক্ত থাকলে তার ভিসা বাতিল করে আজীবনের জন্য ওমান থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এদিকে, ওমান ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবেও কঠোর আইন রয়েছে ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে। আমিরাতের আইন অনুযায়ী, ভিক্ষা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ অপরাধ করলে তাকে তিন মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার দিরহাম জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় দেড় লাখ টাকার সমান।
এদিকে, সৌদির আইন অনুযায়ী ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকা, ভিক্ষুকদের জড়ো করে কৌশলে ব্যবসার চেষ্টা বা কোনো ভিক্ষুক গ্রুপকে সহায়তা করলে জড়িতদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ টাকা (৫০ হাজার সৌদি রিয়াল) জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post