নানা কারণে পাসপোর্ট করে মানুষ। আর পাসপোর্ট করতে গিয়ে ভোগান্তির অভিযোগও কম নয়। কিন্তু সম্প্রতি অন্যরকম এক সমস্যায় পড়েছে পাসপোর্ট অধিদফতর। পাসপোর্টের মালিক খুঁজে পাচ্ছে না পাসপোর্ট অধিদপ্তর। পাসপোর্ট করার সময় যে নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মালিক পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ পাসপোর্টে যে নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেয়া হযেছে তার বেশিরভাগই ভুয়া। আবার একই নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহারের ঘটনাও ঘটেছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ ধরনের প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্টের হদিস পেয়েছে, যেগুলোর মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সব জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, অবিলিকৃত পাসপোর্টের অধিকাংশ মালিকের নাম, ঠিকানা ও
ফোন নম্বরে ভুল থাকায় তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে ফোন নম্বর দিলেও সেগুলোর অধিকাংশ বন্ধ। কিছু নম্বর খোলা পাওয়া গেলেও কেউ ফোন রিসিভ করছে না। আবার কোনো নম্বরের শেষের ও প্রথম ডিজিট ভুল। এ কারণে কোনোভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না এসব পাসপোর্টের মালিকের পরিচয়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল পর্যন্ত সচেতন করতে আমরা নোটিস করেছি।
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, দালালদের কারণেই বেশিরভাগ পাসপোর্ট তৈরির পর আসল ব্যক্তিরা হাতে পান না। বেশিরভাগ সময় দালালরা চাহিদামতো পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে আর সেই পাসপোর্ট নেন না। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সারাদেশের পাসপোর্ট কার্যালয়গুলোতে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। শত শত দালালকে তারা গ্রেপ্তার করে সাজাও দিয়েছেন। সাজাভোগের পর দালালরা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও শুরু করে সেই দালালি ব্যবসা। তাদের পাল্লায় পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। কোনোভাবেই দালালদের রোধ করা যাচ্ছে না।
কয়েকটি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এসব পাসপোর্টের বেশিরভাগ করা হয়েছে দালালদের মাধ্যমে। ফলে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে তারা এই সমস্যা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করা পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন অফিসে নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি বন্ধ থাকা মোবাইল নম্বরগুলোর মালিকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সাঈদ বলছেন, নোটিস দেওয়ার পর অনেকে পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন। এখনো কিছু রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post