করোনা মহামারীর পর ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ। ফলে বিশ্বজুড়েই চলছে নানা সংকট। এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে কমছে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের রিজার্ভ। অভ্যন্তরীণ নানা অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে রেকর্ড দরপতন হয়েছে ইরানি মুদ্রার। বর্তমানে এক মার্কিন ডলার কিনতে প্রয়োজন হচ্ছে ৫ লাখেরও বেশি ইরানি রিয়াল। যা মুদ্রার ইতিহাসে সর্বনিম্ন পতন।
আর এমন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশে রিজার্ভ বেড়েছে। ইতিবাচক ধারায় উর্ধ্বমুখী গতিতে ছুটছে বাংলাদেশের রিজার্ভ। যা ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আর এর পিছনে রয়েছে প্রবাসীদের অবদান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ফলে আসার আলো দেখছে দেশের অর্থনীতি।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রিজার্ভ আরও সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় যাতে বৈধ পথে দেশে আসে- তা নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে প্রবাসী আয়ে গতি বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এক মাসের তথ্য বলছে- ভারত ও পাকিস্তানের রিজার্ভ অব্যাহতভাবে কমলেও ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। পরিমাণে কম হলেও গত এক মাসে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আর তাই প্রবাসীদের এ ধরণের অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post