সহজ এবং দ্রুত যাতায়াতের অন্যতম বাহন হলো বিমান। এ যাত্রা যতটা সুবিধাজনক, ততটা বিপজ্জনকও। ভয় নিয়েও নানা প্রয়োজনে অনেকেই বিমানে চড়েন। তবে অনেকেই আবার নিরাপদ আসন কোনটি হবে, সেই দিকটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন।
বিমানে উঠলে কমবেশি প্রায় সবাই মানসিক চাপ অনুভব করেন। কারণ বিমান এমন একটা মাধ্যম দিয়ে যায়, যেখানে কোনো কারণে যান্ত্রিক গোলযোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারও কিছু করার থাকে না। অনেকেরই ধারণা, বাস বা ট্রেনের মাঝামাঝি বসলে এই ধরনের বিপদেও বোধ হয় প্রাণে বাঁচা যায়। কারণ সামনে বা পেছন বিপদ যে দিক থেকেই আসুক না কেন, মাঝে থাকা যাত্রীদের নাগাল পাওয়া ততটা সহজ নয়! কিন্তু বিমানের ক্ষেত্রেও কি এ একই ধারণা কাজে লাগে?
বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ বা আগুন লাগার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বিভিন্ন দুর্ঘটনার সাক্ষী বিমানে ‘ব্ল্যাকবক্স’ থেকে জানা যায় দুর্ঘটনার কারণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ডানায় আগুন লেগে সেখান থেকে তা গোটা বিমানে ছড়িয়ে পড়ে। এভিয়েশনের এক অধ্যাপক ডগ ড্রুরির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বিমানে আগুন লাগা বা বিমান ভেঙে পড়ার মতো দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচতে মাঝের আসনটিই সবচেয়ে নিরাপদ। পরিসংখ্যানে এমনটাই দেখা গেছে।
সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্রুরি বলেন, ‘ট্রেন হোক বা বিমান, বেশির ভাগ যাত্রীই জানালার পাশের আসনটিতে বসতেই পছন্দ করেন। কিন্তু সব দিক থেকে নিরাপদ মাঝের আসনটিই। এছাড়া সাধারণত বিমানের ডানায় জ্বালানি ভরা থাকে। তাই তার কাছাকাছি কোনো আসনে না বসাই ভালো।’ সাধারণ মানের বিমানগুলোতে আসন ব্যবস্থা মোটামুটি এক। তিনটি আসনের মাঝেরটি তো বটেই, আপৎকালীন রাস্তার আগের সারিতে বসা নিরাপদ বলেই মনে করেন অধ্যাপক ড্রুরি।
https://www.youtube.com/watch?v=CLkjCco1oa0&t=83s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post