একটা সময়ে এসে প্রতিটি জিনিস পুরনো হয়ে যায়। তখন জিনিসগুলোকে আর ব্যবহার করা যায় না। আকাশপথে উড়াল দেয়া বিমানটিও এই নিয়মের বাইরে নয়। আকাশে উড়ে চলা বিমানগুলোও একদিন যায় অবসরে। আর এইসব বিমান অবসরে যাওয়ার পর তাদের কারো অবস্থান হয় বোতলের ঢাকনায়।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)-এর ২০২১ সালের হিসাব বলছে, গত ৩৫ বছরে সারাবিশ্বে যাত্রীবাহী ও কার্গো মিলে মোট ১৬ হাজার বাণিজ্যিক বিমান অবসরে গেছে। তবে কখনও কি ভেবেছেন বিমানগুলো পুরনো হলে কি হয়, কিংবা কি তৈরি করা হয় সেই বিমানগুলোর যন্ত্রপাতি দিয়ে?
একটি স্ক্র্যাপড বিমানের অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা যায়। যেমন, বিভিন্ন পানীয়র ক্যান। এরোসল, বোতলের ঢাকনা, জানালার ফ্রেম, কয়েন ইত্যাদি। আবার কোনো কোনো কোম্পানি এইসব পুরনো বিমান দিয়ে ডেমো বিমান তৈরি করে সেখানে ক্রুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
আবার বিমানের ফার্নিচারগুলো দিয়ে এভিয়েশন থিমের বিভিন্ন টেবিল, কনফারেন্স ডেস্ক ও চেয়ার তৈরি করা যায়। এমনকি অনেক উদ্যোক্তা অবসরপ্রাপ্ত এই বিমানগুলোতে হোটেল বানান। তার মানে শুধু ইঞ্জিনই নয় বরং এর প্রায় সকল যন্ত্রাংশ পুনর্ব্যবহার করা যায়। যেমন, স্টোকহোমের আর্ল্যান্ডা এয়ারপোর্টের অদূরে অবস্থিত ‘জাম্বো স্টে’, হোটেল। কুইন অভ দ্য স্কাইজ নামে একটি ৪৬ বছর পুরনো বোয়িং ৭৪৭-২১২বি জাম্বো জেটকে ২০০৯ সালে একটি প্রশস্ত হোটেলে পরিণত করা হয়। বর্তমানে হোটেলটিতে রয়েছে ৩৩টি কক্ষ যেখানে একই সময়ে ৭৬ জন অতিথি থাকতে পারেন।
তবে, একটি বিমানকে অন্য কিছুতে পরিণত করার এটিই একমাত্র উপায় নয়। কারণ দুইজন আইরিশ নির্মাতা একটি যাত্রীবাহী বিমানকে তাদের আরামদায়ক হোম অফিসে রূপান্তর করেছেন। যেখানে রয়েছে একটি ওয়ার্কিং স্পেস, একটি শয়নকক্ষ এবং একটি রান্নাঘর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post