সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছেন প্রায় দেড় কোটিরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী। এরই মাঝে, প্রবাসে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। মারা যাওয়া প্রবাসীদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা বেশি। যাদের বেশির ভাগ হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন-স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছেন। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনায় মৃত ব্যতীত নানা কারণে মৃত্যু প্রবাসীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৬২ জন। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৮ থেকে ৪১ এর মধ্যে।
কোনও বাংলাদেশি বিদেশে মারা গেলে, মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত, প্রকৃত স্বজনদের ও ঠিকানা যাচাই-বাছাই, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, মূল পাসপোর্ট, বকেয়া বেতন ও ইন্স্যুরেন্স- এসব বিষয় সামনে চলে আসে। ফলে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায় না।
অন্যদিকে, কোনো প্রবাসী অবৈধপথে বিদেশে গেলে, তার ক্ষেত্রে ভোগান্তি হয় আরও বেশি। তার নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন আইনি জটিলতা মিটিয়ে তবেই মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়। এ ছাড়া, মরদেহ দেশে আনার ক্ষেত্রে বিমানের কার্গো খালি পেতেও করতে হয় অপেক্ষা। মাঝে মাঝে অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post