বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে চাইলেও অনেক প্রবাসীর পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছেনা। আইনের বেড়াজালে পড়ে বাধ্য হয়ে ঝুঁকছেন হুন্ডিতে। মধ্যপ্রাচ্যে যেসব প্রবাসী নানা কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছেন, তারা চাইলেও ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেননা। মানি এক্সচেঞ্জ গুলোতে বৈধ রেসিডেন্স কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক। আর তাই যাদের রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা নেই, তাদের একমাত্র মাধ্যম এখন হুন্ডি। কুয়েত থেকে প্রবাসীরা জানিয়েছেন, কুয়েতে নাগরিকত্ব পাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় প্রত্যেক প্রবাসীর মাসিক আয়ের একটা সনদ থাকে। যার কারণে আয়ের ওপর নির্ভর করেই দেশে টাকা পাঠাতে হয় প্রবাসীদের। কেননা অতিরিক্ত আয়ের সঠিক তথ্য না দিতে পারলে পড়তে হয় আইনি জটিলতায়। আয়ের উৎস না থাকায় সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজার প্রবাসীকে কুয়েত থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। সেলারি সার্টিফিকেট থেকে মাসিক আয় কয়েকগুণ বেশি থাকায় এমন ব্যবস্থা নেয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অনেকে বৈধ ভিসায় কুয়েত গেলেও আকামা নবায়ন করতে না পারায় অবৈধ হয়ে যান। আবার কোথাও না কোথাও কাজ করে উপার্জিত টাকা বৈধভাবে দেশে পাঠানোর সুযোগ না থাকায় তারা ঝুঁকছেন হুন্ডির দিকে। অনেকে আবার ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ঝামেলা না নিয়ে হুন্ডিতে টাকা পাঠান। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ মওকুফের দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। যেসব সমস্যার কারণে প্রবাসীরা হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন, তা চিহ্নিত দ্রুত সমাধানে সরকারের প্রতি দাবি কুয়েত প্রবাসীদের।
আরো পড়ুন:
ছুটিতে দেশে এসে সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু
বেড়েছে প্রবাসী আয়, রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার
হুন্ডিতে টাকা নিলে বিপদে পড়বেন প্রবাসীর স্বজন
মৃত্যুকূপ পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছে ৩৮ বাংলাদেশি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post