করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ তাদের উন্নয়ন প্রকল্পে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই উপসাগরীয় দেশগুলোও। তারাও তাদের উন্নয়ন প্রকল্পে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
যে কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতেও দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে সচল। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ওমান। ওমানে ভারপ্রাপ্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মৌসুমি রহমান জানান, “মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ওমান বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার।” বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে গত ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ওমানে কর্মী গেছে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন।
ওমানি নীতি-নির্ধারক ও শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের কথা স্মরণ করে মৌসুমি রহমান বলেন: “ওমানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা অনেক। বর্তমানে ছয় লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি ওমানে বসবাস করছেন। যারা দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। যেহেতু উপসাগরীয় অঞ্চল করোনা পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিকভাবে সচল, তাই চলতি বছরেও বাংলাদেশিদের জন্য ওমানের শ্রমবাজার সবচেয়ে লাভজনক।
তিনি আরো বলেন, “আমি মনে করি, চলতি বছরেও ওমান বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্য হিসাবে বিবেচিত হবে। আমাদের প্রবাসী কর্মীরা অনেক আন্তরিক, বিনয় এবং কঠোর পরিশ্রমী। তারা ওমানি নিয়োগকর্তাদের উপর একটি ভাল জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের দক্ষতা অনেক। তারা দ্রুত আরবি ভাষা শিকতে পারে এবং সব ধরণের কাজে দক্ষ। যা ওমানিদের মধ্যে নিজেদের জনপ্রিয় করে তুলেছে।
এখন অনেক ওমানি নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আগ্রহী। যেকারণে করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ থেকে ওমানে শ্রমিকের নিয়োগ বন্ধ হয়নি। আমরা গত বছর ওমানে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি এই ধারা চলতি বছরও অব্যাহত থাকবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post