ব্রেন স্ট্রোক করে ওমানের সুর হাসপাতালে ভর্তি থাকা বাবুল নামে এক প্রবাসীকে দেশে পাঠানোর বিষয়ে মাস্কাট দূতাবাসকে চিঠি দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। সেখানে প্রবাসীকে দেশে ফেরত চেয়ে পরিবারের আবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়। পরে দূতাবাস থেকে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে চিকিৎসকরা জানান, ওই ব্যক্তির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং তাকে বিমানযোগে বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব নয়। এমনকি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও ওমানে সরকারি খরচে তাকে উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাটি নিয়ে প্রবাস টাইমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন বাবুর সঙ্গে থাকা মোসলেম নামের এক প্রবাসী দূতাবাস ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা নিয়ে অভিযোগ তুলে জানান, কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাবে বাবুল দেশে ফিরতে না পেরে ওমানে খুব বাজে পরিস্থিতিতে আছেন। তবে পরবর্তীতে জানা গেছে ভিন্ন কথা, বাবুল এবং মোসলেমের নিয়োকর্তা একই ব্যক্তি। আর ওমানের শ্রম আইন অনুযায়ী, অসুস্থ কর্মীর যাবতীয় খরচ নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হয়। মূলত নিয়োগকর্তার সেই অর্থব্যয় ঠেকাতে মোসলেম অসুস্থ প্রবাসীকে দেশে পাঠাতে চেয়েছিলেন। এজন্য পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে সরকারি পর্যায়েও আবেদন করিয়েছেন তিনি। তার এই দুরভিসন্ধির কারণে ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী ওমানের বিনা খরচের চিকিৎসা সেবা নেওয়ার সুযোগ হারাতে বসেছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ওমানে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেন বাবুল। তবে নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা না থাকায় কাঙ্খিত উপার্জন ছিলোনা। আবার দেশেও ছিলেন ঋণগ্রস্ত। এজন্য দেনা পরিশোধের চাপও ছিলো। সহকর্মীদের ধারণা, এসব চিন্তা থেকেই গত ৩ মার্চ ব্রেন স্ট্রোক করেন বাবুল। এরপর থেকে সুর হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি আছেন। সেখানে প্রতিদিন চিকিৎসা ব্যয় বাবদ সরকারিভাবে প্রায় ৫০০ ওমানি রিয়াল খরচ হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
