দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি সরকারি ও ৫টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। পাশাপাশি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল দ্রুত চালু, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল সক্রিয়করণ এবং অন্যান্য বন্দর সচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় দেশের বন্দর ব্যবস্থাকে গতিশীল করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর যৌথ সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাতিল হওয়া সরকারি অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের সোনাদিয়া, বাগেরহাটের সুন্দরবন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, গাজীপুরের শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল। বেসরকারি অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে বিজিএমইএ-এর গার্মেন্টস পার্কসহ আরও চারটি অঞ্চল।
বিনিয়োগ আকর্ষণে বিডার আয়োজিত চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। সম্মেলনে ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি ও ৩৯৫ জন দেশি বিনিয়োগকারী অংশ নেন। বিডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুধু সামিটের মাধ্যমেই এই বিনিয়োগ আসেনি; এটি পূর্ববর্তী আলোচনা ও উদ্যোগের ফল।
সরকার বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ করতে আটটি বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এক ছাদের নিচে আনতে কাজ শুরু করেছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সব প্রক্রিয়া দ্রুত ডিজিটাল করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেবে, তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থাও বিবেচনায় রয়েছে বলে জানানো হয়।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিডার কর্মকর্তারা জানান, অনেক বিদেশি প্রতিনিধি বাংলাদেশ সম্পর্কে গুগল নির্ভর নেতিবাচক ধারণা নিয়ে এলেও বাস্তবে এসে তারা ভিন্ন চিত্র দেখে বিস্মিত হয়েছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে বিদেশিদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানোই ছিল মূল লক্ষ্য।