মধ্যপ্রাচ্যগামী অধিকাংশ এয়ারলাইন্সের টিকিট মজুদদারির ফলে তৈরি হয়েছিলো সিন্ডিকেট। এতে আসন সংকট দেখা দেয় এবং টিকিট মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ, কখনো দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ে এবং বিদেশগামী শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও প্রবাসীদের চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
তবে সরকারের নজরদারি ও প্রচেষ্টায় টিকিটের দাম নাটকীয়ভাবে কমেছে। চড়া মূল্যের টিকিট এখন ৫০ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। এমনকি কিছু বিমান সংস্থা ঢাকা থেকে দাম্মাম ও রিয়াদের মতো রুটে টিকিট ভাড়া কমিয়ে ৩৫ হাজার টাকায় দিচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি বিমান টিকিটের দাম কমানোর পাশাপাশি যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া বাল্ক টিকিট বিক্রি ও মজুদদারি বন্ধের দাবি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল আটাব। ওই সম্মেলনে আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন।
বিমানের টিকিটের মূল্য নিয়ে এমন নৈরাজ্যের অভিযোগ তোলার পর নড়েচড়ে বসে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্রমবর্ধমান বিমান ভাড়া রোধকল্পে কঠোর নিয়মকানুন জারি করে। এতে টিকিট বুকিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা বরাদ্দ করা না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বুকিং বাতিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি গ্রুপ বুকিংয়ের নামে কোনো এয়ারলাইন্সের অনেকগুলো টিকিট একসঙ্গে ব্লক করা হলে পরে সাত দিনের মধ্যে যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বরসহ তা বিক্রি নিশ্চিত করার তথ্য দিতে বলা হয়। এরপর সৌদি আরবগামী ফ্লাইটসহ বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান ভাড়া ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় সরকার। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আটাবের একটি প্রতিনিধিদল সরকারের এই উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post