বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে জনগণকে ‘ধোঁকা’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তেমনই এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার অভিযোগের উৎস কোনো জনসমাবেশ নয়, বরং বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রযুক্তি।
সম্প্রতি একটি অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইলন মাস্কের কোম্পানি থেকে গৃহীত অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মোদির বেশ কিছু ‘গোপন’ তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মাস্কের তৈরি গ্রোক থ্রি নামক একটি এআই চ্যাটবট মোদির শৈশব থেকে শুরু করে বর্তমান জীবনযাত্রা পর্যন্ত বিভিন্ন ‘অজানা’ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ওই প্রতিবেদনের সূত্র অনুযায়ী, গ্রোক থ্রি নাকি দাবি করেছে যে মোদি ভারতের ‘সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক নেতা’ হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয়, মোদির উচ্চশিক্ষার দাবিও এই এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালে মোদির বিএ পাসের একটি ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য দিলেও, রেকর্ডে কিছু ‘গড়মিল’ দেখা যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি মোদি নাকি তার এই ডিগ্রি প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেন, এমন মন্তব্যও করেছেন ভারতীয় ইউটিউবার ধ্রুবরাঠি।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষ থেকে এই সমস্ত তথ্যকে ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়া খবর বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রোক থ্রি তার অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়েছে যে, তাদের দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণরূপে গবেষণালব্ধ এবং এই তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছালে তা ‘চমকে’ দেওয়ার মতো।
প্রতিবেদনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) মোদির প্রায় ১০ কোটি ফলোয়ারের মধ্যে ৬০ শতাংশই নাকি ভুয়া। এই বিষয়ে ভারতের বিরোধী দলগুলোও সরব হয়েছে বলে জানা গেছে।
এখন দেখার বিষয়, বিজেপি এই তথ্যের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয় কিনা অথবা ভবিষ্যতে এই ‘ফাঁস’ হওয়া তথ্য মোদি বা তাদের দলের জন্য কতটা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। সময়ই হয়তো এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post