যুদ্ধবিরতি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে পবিত্র রমজানের শুরুতে গাজায় সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। রোববার সকাল থেকে মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় আর কোনো ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি।
এমন আবহে ইসরাইলের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি একে ‘ব্ল্যাকমেইল ও সম্মিলিত শাস্তির কৌশল’ হিসেবে অভিহিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
রিয়াদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যেই ইসরাইলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরাইলের এই গুরুতর লঙ্ঘন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, ইসরাইলের এই নিষেধাজ্ঞার পর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের একটি প্রস্তাব ইসরাইল গ্রহণ করেছে, যাতে আসন্ন রমজান ও পাসওভার উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রমজান এবং ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবের সময় যুদ্ধবিরতি বজায় থাকতে পারে।
হামাস চুক্তির স্থায়ী পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। অন্যদিকে ইসরাইলের চাওয়া, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের বর্তমান নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে, সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
