সম্প্রতি ত্রিপলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে আশ্রয়ে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্থানীয় পাবলিক প্রসিকিউটরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে এই উদ্ধার অভিযান সফল হয়।
ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, তারা লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়মিত কনস্যুলার সেবা ও প্রয়োজনীয় কল্যাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। রাষ্ট্রদূত কর্তৃক পরিচালিত জনকূটনীতি ও প্রবাসীদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম দূতাবাসের কর্মতৎপরতাকে আরও বেগবান করেছে।
দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) সম্প্রতি লিবিয়ার বিপ্লব দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা যায়।
অন্যদিকে, অভিবাসীদের সুরক্ষা ও পরিচয় শনাক্তকরণের গুরুত্ব অনুধাবন করে দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) তিউনিশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইওএম লিবিয়ার এক কর্মশালায় অংশ নেন। এই কর্মশালায় অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের পুনর্বাসন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে সহায়ক হবে।
দূতাবাসের কর্মীরা লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কল্যাণে সর্বদা তৎপর। প্রথম সচিব (শ্রম)-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি জাওয়াইয়া হাসপাতালের মর্গে পরিদর্শন করে। সেখানে মৃতদেহগুলোর মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের দেহ আছে কিনা, তা শনাক্ত করার চেষ্টা চালান তারা। একই সাথে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
দূতাবাসের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে, জোয়ারা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও স্মৃতিশক্তি হারানো এক বাংলাদেশি নাগরিকের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি, সুরমান শহর থেকে অপহরণের শিকার ৫ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেয় দূতাবাস এবং পরবর্তীতে তাদের পরিবারের কাছে নিরাপদে হস্তান্তর করা হয়। এর ধারাবাহিকতায়, ২০শে ফেব্রুয়ারি তাজুরায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকা আরও ২ জন বন্দি বাংলাদেশিকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় দূতাবাস।
দূতাবাস শুধু লিবিয়াতেই নয়, তিউনিশিয়ার তাতাউইন শহরে আটকে পড়া ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের পরিচয় শনাক্ত করে এবং তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান করে। ইতোমধ্যে আইওএম তিউনিসিয়ার কাছে আউটপাস হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
