ওমানে অবৈধভাবে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করতে চলেছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি সার্ভিসেস কর্পোরেশনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে সংশ্লিষ্ট টিম। সংরক্ষিত পেশায় প্রবাসীদের কাজ বন্ধ করা, শ্রম আইন লঙ্ঘন রোধ এবং ওমানি নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিই এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।
২০২৪ সালে সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি সার্ভিসেস কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে বিশেষ পরিদর্শন ইউনিট গঠন করে শ্রম মন্ত্রণালয়। এই ইউনিটের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে শ্রম আইন বাস্তবায়ন, নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান এবং লেবার কেয়ার সেন্টার তত্ত্বাবধান।
মাস্কাট, আল বাতিনাহ উত্তর এবং ধোফার অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তারা অবৈধ প্রবাসী ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। প্রয়োজনে রয়্যাল ডিক্রির ক্ষমতাবলে এই ইউনিট প্রবাসী শ্রমিকদের বিচারিক কার্যক্রমও পরিচালনা করতে পারে।
২০২৪ সালের শুরু থেকেই ওমান সরকার অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্রতর করেছে। বিশেষ পরিদর্শন ইউনিটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে এই বাহিনী অবৈধ শ্রমিকদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রম বাজার সংস্কার এবং ওমানি নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান সুযোগ বাড়াতে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে।
ওমান সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধেই নয়, বরং দেশের শ্রম বাজারকে আরও সংহত ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সংরক্ষিত পেশায় স্থানীয় নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শ্রম আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ওমান তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জনে বদ্ধপরিকর। এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে দেশটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত শ্রম বাজার গড়ে তুলতে চাইছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post