একটি ইজিজেট ফ্লাইটের পাইলট মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়লে কো-পাইলটের দক্ষতায় বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। ফ্লাইটটি ম্যানচেস্টারের উদ্দেশ্যে বিমানটি যাত্রা করলেও পাইলটের অসুস্থতার কারণে গ্রিসের এথেন্সে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে ছিল, তখন পাইলট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে কেবিন ক্রুরা ককপিটে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। কো-পাইলট দ্রুত বিমানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং এথেন্স বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।
জরুরি অবতরণের আগে কেবিন ক্রুরা দ্রুত পাইলটের চারপাশে একটি স্ক্রিন স্থাপন করেন, কারণ তিনি তখন গুরুতর অবস্থায় ছিলেন। এথেন্স বিমানবন্দরে অবতরণের পর আহত পাইলটকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। তবে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
যাত্রীরা কো-পাইলটের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। একই সাথে কেবিন ক্রুদেরও তাদের দক্ষতা ও দ্রুত পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যাত্রীরা কেবিন ক্রুদের “চমৎকার” বলে বর্ণনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যাত্রী ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজকে জানান, উড্ডয়নের প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা বুঝতে পারেন যে কিছু একটা ভুল হয়েছে। কেবিন ক্রুরা তখন পানীয় পরিবেশন করছিলেন। হঠাৎ তারা ককপিটের দিকে ছুটে যান, যেখানে একজন লোক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
ওই যাত্রী আরও জানান, প্রথমে তারা ভেবেছিলেন সম্ভবত কোনো যাত্রী অসুস্থ হয়েছেন। কারণ তখন শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছিল এবং কেউ ডাক্তারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হচ্ছিল। কয়েকজন যাত্রী তখন কেবিন ক্রুদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন।
ইজিজেটের একজন মুখপাত্র জানান, রোববার সন্ধ্যায় হুরঘাদা থেকে ম্যানচেস্টারের ফ্লাইট ইজেডওয়াই২২৫২ কে এথেন্সের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণ পাইলটের চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। প্রথম কর্মকর্তা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়মিত অবতরণ করেন।
এই ঘটনাটি বিমানের যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে এক অসাধারণ সমন্বয়ের প্রমাণ। কো-পাইলটের দক্ষতা এবং কেবিন ক্রুদের তৎপরতায় একটি সম্ভাব্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post