জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আবগারি শুল্ক বাড়ানোয় বিমান টিকিটের মূল্য বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুই রুটের যাত্রীদের এখন থেকে বাড়তি দাম দিয়ে টিকিট কিনে ভ্রমণ করতে হচ্ছে।
তবে এনবিআরের প্রজ্ঞাপন জারির আগেই যারা টিকিট কিনেছেন, তারা বাড়তি শুল্কের আওতায় পড়বেন না। শুল্ক বেড়ে যাওয়াতে এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়ে টিকিটের দাম বাড়াচ্ছেন।
আর প্রবাসী যাত্রীরা বাড়তি দাম দিয়ে টিকিট কিনতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কারণ এমনিতেই যাত্রীরা কম দামে টিকিট ক্রয় করতে চান। কিন্তু শুল্ক বেড়ে যাওয়াতে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে। এতে করে কিছু ক্ষেত্রে টিকিটের চাহিদা কমতে পারে।
জিডিপিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকার আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। তবে শুল্ক বাড়ানোর কারণে যাত্রী কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অন্যান্য বছর অর্থ বছরের শুরুতে এনবিআর আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করলেও এবার অর্থ বছরের মাঝামাঝি সময় টিকিটের ওপর প্রায় ৪০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য দেশগুলোয় যাওয়ার টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক এক হাজার টাকা বাড়িয়েছে। যা আগে ৫০০ টাকা ছিল।
এছাড়া সার্কভুক্ত দেশগুলোর বাইরে এশিয়ার অন্যান্য দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকিটে শুল্ক আড়াই হাজার করা হয়েছে। যা আগে ছিল দুই হাজার টাকা। একইভাবে ইউরোপ ও আমেরিকার টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক তিন হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে।
বিমানের টিকিটের মূল্য বাড়ায় শুধু সংকট হবে এমনটি নয় এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ট্র্যাভেল এজেন্টদের ব্যবসায় কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।
তবে ট্র্যাভেল এজেন্টরা মনে করছেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে যাত্রীদের যেভাবে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে এর তুলনায় সরকার যে আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে সেটি কিছুই না। তাই টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধের জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Discussion about this post