বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার হচ্ছে চীন। দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই ভাল। জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করতে মনোযোগ দিচ্ছে চীন। এর ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনে সর্বোচ্চ স্তরের সফরে আগ্রহী বেইজিং।
তাই দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশক পূর্তিতে আগামী মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বেইজিং সফরে নিতে চায় চীন।
আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় বাও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। এশিয়াসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থার এ ফোরামে বিভিন্ন দেশের নেতা, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা ও শিক্ষাবিদেরা অংশ নিয়ে থাকেন।
তবে সে সময়ে স্বাধীনতা দিবসে প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় নানা অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য চার্টার ফ্লাইটও পাঠাতে প্রস্তুত চীন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সফরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া আলোচনা হবে অর্থনৈতিক সহযোগীতা আরও জোরদার করা ও স্বাস্থ্যখাতে চীনের অংশিদারিত্ব বাড়ানো বিষয়েও।
বৈঠকে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সহযোগিতা কীভাবে এগোবে, তা গুরুত্ব পাবে। দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে স্বাস্থ্য খাত গুরুত্ব পেতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চীনের সহায়তায় মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপন, বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংসহ একাধিক প্রদেশে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য স্বল্প মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং ঢাকায় আহত ব্যক্তিদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিশেষ প্রকল্পের বিষয়ে একাধিক সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Discussion about this post