পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ম মহিপুরে স্বামীর ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে উধাও হয়েছে সুমাইয়া (৩১) নামের এক কন্যা সন্তানের জননী।
গত বুধবার বিকেলে মহিপুর থানার ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় স্বামী বনিআমিন হাওলাদার বাদী হয়ে স্ত্রী ও প্রেমিক জাহাঙ্গীরকে বিবাদী করে মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর পূর্বে মহিপুর সদর ইউনিয়নের সুধীরপুর গ্রামের এছাহাক জোমাদ্দারের মেয়ে সুমাইয়া বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের বনি আমিন হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তিনি প্রবাসে চলে যান। প্রবাস থেকে আয়ের অর্থ স্ত্রীর নামে পাঠাতেন বনি আমিন। স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় মহিপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত টেকনোলজিস্ট জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবকের সাথে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকার ভিতরে বিষয়টি জানাজানি হলে বনি আমিন খবর পেয়ে দেশে চলে আসেন। স্বামী বনি আমীনের দেশে আসার খবর শুনে বুধবার (৮ জানুয়ারী) স্বামীর ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও গলার চেইন, কানের দুল, হাতের বালা সহ প্রায় ৯ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং তার ১২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সুমাইয়া।
বিষয়টি (শুক্রবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্নরকম পোস্টের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টে তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে অনেকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বনি আমিন বলেন, আমি দীর্ঘ ১১ বছর প্রবাসে ছিলাম সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের সকল অর্থ এবং স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে আমার স্ত্রী তার পরকীয়া প্রেমিক ডায়াগনস্টিক ল্যাব এর টেকনোলজিস্ট জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, প্রবাস থেকে এসে আমি আমার মেয়েকে ছাড়া থাকতে পারবো না। টাকা-পয়সা সহ আমি আমার মেয়েকে ফেরত পেতে চাই।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post