প্রবাসীদের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার যে ঘোষণা সরকার দিয়েছিল, তা নিতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। মহামারীর মধ্যে সৌদি আরব ও কুয়েতগামী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিনের খরচ বাঁচাতে ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে শুধু ফাইজারের টিকাদান শুরুর কথা মঙ্গলবার জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কিন্তু কীভাবে এই টিকা দেওয়া হবে সেবিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট কোনো বার্তা প্রবাসীদের কাছে যায়নি। ফলে অনেকেই লকডাউনের মধ্যে হাজার হাজার টাকা খরচ করে শুধু ভিসা হাতে রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে ভিড় করে বিফল হন। কারণ যাদের টিকে নিতে আসার জন্য এসএসএম পাঠানো হয়েছে, শুধু তারাই টিকা পাচ্ছেন।
তাছাড়া সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ‘প্রস্তুতিহীনতার’ কারণে অনেকে ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি, কেউ কেউ সফল হলেও এসএমএস পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। এ কারণে টিকাদান কেন্দ্রে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা না পেয়ে বিক্ষোভও করেছেন প্রবাসীকর্মীরা।
সুলতান কাবুস কুইজের ফলাফল দেখুন এই লিংকেঃ https://probashtime.net/sultan-khabus/
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে আসা কুয়েত প্রবাসী শরীফ আহমেদ বলেন, “লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন না পেয়ে ১১ হাজার টাকায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় এসেছেন তিনি। কিন্তু এসে টিকা নিতে পারেননি। বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর দেখেছি, ঢাকার সাতটি হাসপাতালে টিকা দিবে। কিন্তু এখানে আসার পর বলে টিকা দেবে না।”
প্রবাসী কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাতটা হাসপাতালে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। কিন্তু বলার পর কাজটা শুরু করতে কিছুটা সময় দিতে হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি সমাধান করতে আইসিটি বিভাগ কিছুটা সময় চেয়েছে। তারা বলেছে, রোববার বা সোমবার বিষয়টি ঠিক করে নেবেন যেন আমরা সরাসরি নিবন্ধন করতে পারি। বৃহস্পতিবার শুধু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরে অন্য হাসপাতালগুলোতেও দেওয়া হবে।”
সঠিক তথ্য না জানায় প্রবাসীদের অনেকে বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানান এমএনসিঅ্যান্ডএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো.শামসুল হক। তিনি বলেন, “প্রবাসী শ্রমিকদের ট্কিা নিতে হলে অবশ্যই বিএমইটির মাধ্যমে নিবন্ধন করে আসতে হবে। প্রবাসী কর্মীরা নিজ জেলায় বিএমইটির অফিসে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। সেই তালিকা আমাদের কাছে এলে আমরা যাচাই করে আইসিটিতে দেব। আইসিটি পাসপোর্ট নম্বর যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা করবেন। সবার শেষে সুরক্ষা অ্যাপের (ওয়েবসাইটের) মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। তারপর কেন্দ্র থেকে যেদিন এসএমএস যাবে সেই তারিখ অনুযায়ী সেদিন গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post