ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় দুই শিশুসহ অন্তত ছয় বাংলাদেশি নারী ও পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ফেরার পথে ত্রিপুরা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার ত্রিপুরা পুলিশ ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে।
ত্রিপুরা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবার রাজ্যের খোয়াই জেলার একটি বেসরকারি গেস্ট হাউস থেকে ছয় বাংলাদেশিকে নাগরিক গ্রেপ্তার করা হয়।
‘‘বাংলাদেশি নাগরিকরা দিল্লি থেকে সীমান্তবর্তী খোয়াই জেলায় এসেছিলেন এবং ভারতীয় দালালদের সহায়তায় বাংলাদেশে ফেরার আগে গেস্ট হাউসে অবস্থান করছিলেন। তারা বাংলাদেশের ফেনী জেলার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশি নাগরিকরা কয়েক মাস আগে চাকরির সন্ধানে দিল্লিতে গিয়ে অবৈধভাবে আধার, প্যান এবং ইপিআইসি কার্ড তৈরি করেন বলে স্বীকার করেছেন। পুলিশ এসব ভুয়া কার্ড জব্দ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা হলেন, মোহাম্মদ কবির (৩৭), মোহাম্মদ মুমিন (২৩), আয়েশা খাতুন (৭০), তানিয়া বেগম (৩৫)। তাদের সঙ্গে দুই শিশুও ছিল।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গত পাঁচ মাসে ৫৭০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ও ৬৩ জন রোহিঙ্গাকে আগরতলা রেলস্টেশন এবং ত্রিপুরার অন্যান্য স্থান থেকে রাজ্যের রেলওয়ে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ত্রিপুরার সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৭০০ অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে প্রায় ৫০ কোটি রুপির বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিএসএফ।
বিএসএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নিষিদ্ধ পণ্য চোরাচালানসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ত্রিপুরায় ৮৫৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও অভিযান জোরদার করেছে।
তিনি বলেন, গত জুন-জুলাইয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিএসএফ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post