যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং আমেরিকায় বসবাসকারী পাঁচজন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এই মামলাটি দায়ের করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ‘লেহি আইন’ অনুযায়ী এই মামলা করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের সামরিক বাহিনী যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত থাকে, তবে তাদের প্রতি মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। মামলার বাদীরা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত, তবুও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, বিচারাধীন মামলার ওপর তারা কোনো বক্তব্য দেয় না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা যুদ্ধ চলাকালীন নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বিশেষত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ইচ্ছা করলেই লেহি আইন প্রয়োগ করে ইসরায়েলের সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারত, কিন্তু তারা তা করেনি।
মামলার একজন বাদী বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাকে সাতবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় তার পরিবারের ২০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তার মতে, “ইসরায়েলের সামরিক সহায়তা বন্ধ হলে এই অমানবিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে।”
ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনে গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। গত ১৪ মাসের সংঘর্ষে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ হাজারই শিশু। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনিদের মামলাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post