ইরান এবার তৈরি করেছে একটি ড্রোনবাহী রণতরী, যা ইতিমধ্যে সাগরে অবস্থিত। ‘শহীদ বাঘেরি’ নামক এই ড্রোন ক্যারিয়ারটি ইরানের নৌবাহিনীর ঘাঁটি, বন্দর আব্বাসের কাছে দেখা গেছে।
ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, কনটেইনারবাহী একটি জাহাজকে নতুনভাবে রূপান্তরিত করে ক্যারিয়ারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি বিশেষভাবে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ড্রোনের উড্ডয়ন ও অবতরণ সম্ভব হয়। দেখতে এটি অনেকটা বিমানবাহী রণতরীর মতো। এর উপরের অংশে একটি স্কি-জাম্প রয়েছে, যা বিমান বা ড্রোন উড্ডয়নে সহায়তা করে।
এটি ‘শর্ট টেকঅফ ব্যারিয়ার অ্যাসিস্টেড রিকভারি’ প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত হলেও, ছোট রানওয়ে দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে, এটি মূলত ড্রোন এবং হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ড্রোন ক্যারিয়ারটি গত নভেম্বরের শেষে ইরান শিপইয়ার্ড অ্যান্ড অফশোর ইন্ডাস্ট্রিজের ডকইয়ার্ড থেকে বেরিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলক সি ট্রায়ালে অংশ নিয়েছে।
ইরানের অন্যান্য দুটি ড্রোন ক্যারিয়ার—‘শহীদ মাহদাভি’ এবং ‘শহীদ রৌদাকি’—ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধরা পড়েছে। এগুলোও পূর্বে বাণিজ্যিক জাহাজ ছিল, পরে সেগুলো সামরিক কাজে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই জাহাজ দুটি একে অপরের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল।
এই ড্রোন ক্যারিয়ারগুলোর মাধ্যমে ইরানি নৌবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মনুষ্যবিহীন আকাশযানগুলোকে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। বহু বছর ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, ইরান তার নিজস্ব সশস্ত্র ড্রোন বহর তৈরি করেছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের মতো আন্তর্জাতিক যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post