জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করে এমন কোনো পররাষ্ট্রনীতি আমরা গ্রহণ করব না।
অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসে স্বাধীন ও সার্বভৌম স্বার্থকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতের সম্পর্কগুলো পরিচালনা করবে।”
বুধবার কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)-এর লালমাই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন” শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বার্ড, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় এবং আফ্রিকান-এশিয়ান রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় ১২টি দেশের ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
জাম্বিয়া, ওমান, নামিবিয়া, কেনিয়া, ঘানা, গাম্বিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে কর্মশালায় অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় হয়।
সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ, যিনি সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া, আফ্রিকান-এশিয়ান রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. খুশনুদ আলী ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক এই কর্মশালা বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও গ্রামীণ উন্নয়নে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করেছে।
অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো নিজ নিজ দেশে প্রয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
কর্মশালার শেষ পর্যায়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের হাতে সনদ তুলে দেন এবং বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post