সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, আসাদ বর্তমানে মস্কোয় তার পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন। বিদ্রোহীদের ক্রমাগত অগ্রযাত্রার মুখে রাজধানী দামেস্ক থেকে রোববার সকালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে তিনি দেশ ছাড়েন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলার কারণে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এখন বাশারবিরোধীদের দখলে। দেশটির দীর্ঘকালীন প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তার পরিবারের মস্কোয় পৌঁছানোর পর রাশিয়া মানবিক বিবেচনায় তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।
দামেস্কে বিজয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রধান নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। এক মসজিদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “এই বিজয় সমগ্র সিরিয়ার মানুষের জন্য।” পাশাপাশি, এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি।
বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিরিয়ার সাধারণ মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। রাজধানী দামেস্কের রাজপথে খুশিতে মেতে ওঠে জনতা।
এর মধ্যেই অনেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট চালায়। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা মানুষেরা বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ছবি তুলে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
বিদ্রোহীরা দামেস্কের আগে আলেপ্পো, হামা এবং হোমস শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই ঐতিহাসিক পরিণতিতে বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসন এবং আসাদ পরিবারের দীর্ঘকালীন আধিপত্যের অবসান ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ট্যাংকে উঠে বিজয়ের উল্লাসে অংশ নেয়।
এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে নানা আলোচনা চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post