রাজশাহীতে প্রেমের সম্পর্ক থেকে গড়ে ওঠা একটি বিয়ে অবশেষে পরিণত হয়েছে প্রতারণার অভিযোগে। ৬০ বছর বয়সী মোস্তাফিজুর রহমান ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী হিসেবে পরিচিত ৩১ বছর বয়সী তামান্না আক্তার ফেন্সির সম্পর্ক নিয়ে এই ঘটনা শহরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
গত ২০ নভেম্বর রাতে মোস্তাফিজুর ও তামান্না কাজি অফিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। বিয়ের পর রাজশাহীর একটি তিন তারকা হোটেলে তাদের ফুলশয্যার পরিকল্পনা ছিল। তবে হোটেলে ওঠার আগে তামান্না টাকাগুলো বাড়িতে রেখে আসার কথা বলে চলে যান। এরপর আর ফিরে আসেননি। চার দিনের মাথায় তিনি মোস্তাফিজুরকে তালাকের নোটিশ পাঠান।
মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, তামান্না পরিকল্পিতভাবে তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তিনি জানান, এর আগে একবার তামান্নাকে বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। পরে তামান্না যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও সম্প্রতি আবার যোগাযোগ শুরু করেন এবং পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। মোস্তাফিজুর এই শর্তে বিয়েতে রাজি হন। তবে বিয়ের পর তামান্না টাকাসহ পালিয়ে যান এবং তালাক দেন।
তামান্না আক্তার ফেন্সি ভিন্ন দাবি করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মোস্তাফিজুর তাকে বিয়ের পর দুই কাঠা জমি, একটি ফ্ল্যাট নির্মাণ, এবং ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা জমার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় তিনি তালাক দেন। দেনমোহরের টাকা নেওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
তামান্নার যুব মহিলা লীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় থাকলেও, তিনি কোনো পদে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইসমত আরা। এদিকে, চন্দ্রিমা থানায় মোস্তাফিজুর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এই ঘটনাটি এখন পুরো রাজশাহীজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে প্রেম, বিয়ে, প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণার জটিল মিশ্রণ ধরা পড়েছে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post