গ্রিসের আদালত পোল্যান্ডের তরুণী আনাস্তাসিয়ার অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিন এস.কে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হয়, যা গ্রিসের সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে গ্রিসের কস দ্বীপে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পোল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম টিভিএন-২৪ জানিয়েছে, আনাস্তাসিয়ার অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, যার শুনানি শুরু হয় গত সোমবার। শুনানি শেষে শুক্রবার আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বিচার প্রক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও, আদালত তার যুক্তি গ্রহণ করেনি। মামলার তথ্য অনুসারে, ২৭ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন।
গত জুনে একদিন কর্মঘণ্টা শেষে নিখোঁজ হন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে সময় কাটানোর পর সালাহউদ্দিনের স্কুটারে চড়ে তার সঙ্গে বেরিয়ে যান। এরপর তাকে জীবিত আর দেখা যায়নি।
তদন্তে জানা যায়, সালাহউদ্দিন গ্রিস ছাড়ার প্রস্তুতি হিসেবে ইতালির উদ্দেশ্যে বিমানের টিকিট কিনেছিলেন এবং গুগলে বিভিন্ন সন্দেহজনক তথ্য খুঁজছিলেন, যেমন “মৃতদেহ লুকানোর উপায়” ও “আঙুলের ছাপ মুছে ফেলার পদ্ধতি।”
পরবর্তীতে আনাস্তাসিয়ার মরদেহ সল্ট লেকের কাছে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং এর আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
নিহতের পরিবার এই রায়কে এখনও চূড়ান্ত বলে মনে করছে না এবং ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। গ্রিসের বাসিন্দাদের জন্য এই ঘটনা এক গভীর শোক ও নিন্দার উদ্রেক করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post