ভারতের অভ্যন্তরে ১৫টি শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবির পর, এবার পাল্টা আক্রমণে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সীমান্ত পেরিয়ে আসা একাধিক রকেট ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তুলেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তান বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ছোড়া ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানের হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের বিমানবন্দর, সাম্বা, আরএস পুরা এবং আরিনাসংলগ্ন এলাকা। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ব্যবহার করে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আকাশেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। একইসঙ্গে, জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুটি পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করার কথাও জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুধু জম্মুই নয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন পাঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ব্ল্যাকআউট জারি করেছে ভারত। হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশে শহরে ব্ল্যাকআউট করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে অমৃতসরও অন্ধকারে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ভারত।
আরও পড়ুন
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দাবি করেছিল যে, পাকিস্তান তাদের পাঞ্জাব, গুজরাট ও জম্মু-কাশ্মীরসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার পাকিস্তানের হামলার জবাবে লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছে। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে এবং পাকিস্তানের একাধিক সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ভারতের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা হামলার মোকাবিলায় শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা ও চণ্ডীগড়সহ বিভিন্ন শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে এবং রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এই হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।