দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর, অবশেষে লেবাননে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। লেবাননের যুদ্ধ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, এখন থেকে পুনরায় সেখানে কর্মী পাঠানো শুরু করবে বাংলাদেশ। বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, লেবাননের পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক স্বাভাবিক এবং নিরাপদ।
দূতাবাস বুধবার (৫ মার্চ) এক বিশেষ বার্তায় এই আনন্দের সংবাদটি জানিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর আগে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) কর্মী পাঠানোর উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়।
তবে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লেবাননের প্রতিটি কর্মীর চাহিদাপত্র অবশ্যই বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। পাশাপাশি, ইসরায়েলের সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণাঞ্চল বাদে, লেবাননের অন্যান্য এলাকায় কর্মীদের উপযুক্ত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, লেবানন ও ইসরাইলের সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পর, বাংলাদেশ সরকার গত বছর কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক ছিল যে, গত বছরের ৮ই আগস্ট, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস লেবাননে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়। এরপর, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি না হওয়া পর্যন্ত কর্মী পাঠানো স্থগিত রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দীর্ঘ সাত মাস ধরে কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকলেও, সম্প্রতি বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, লেবাননের যুদ্ধ পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কর্মী পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে, গত বছর ২১শে অক্টোবর থেকে শুরু করে এই বছর পর্যন্ত, ১৯টি বিশেষ ফ্লাইটে মোট ১ হাজার ২৪৬ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় আরও কিছু বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবর্তন করানো হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
