আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
একইসঙ্গে তার পূর্বের বক্তব্য এবং ফাঁস হওয়া অডিও-ভিডিও সরাতে বিটিআরসি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। সেখান থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে মন্তব্য করে আসছিলেন, যা প্রসিকিউশনের ভাষায় বিদ্বেষমূলক। এসব বক্তব্য বন্ধের জন্যই প্রসিকিউশন এই আবেদন করে।
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন অফিসে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশ অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ আরও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক এক সচিবকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সম্প্রতি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে।