প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে, নগদ অর্থ ও গহনা আত্মসাত

প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে, নগদ অর্থ ও গহনা আত্মসাত

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ইটালী প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে এবং নগদ অর্থ ও গহনা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বধুসহ তার অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। উপজেলার আড়ুয়াডিহি এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেনের মেয়ে আফরোজা আক্তার আখিসহ তার মা বাবার বিরুদ্ধে মোল্লাহাট থানায় এ অভিযোগ করেছেন পাশ্ববর্তী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা এলাকার ইটালী প্রবাসী মোঃ রমজান আলী শেখের বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে জানা যায়, গত মার্চের ৬ তারিখে পারিবারিকভাবে আখির সাথে ইটালী প্রবাসী রমজানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আঁখিকে দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার সহ ব্যবহারিক আনুষাঙ্গিক জিনিষপত্র দেয়া হয়। এ ছাড়া রমজানের থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও দামি মোবাইল ফোন নিয়েছে আখি ও তার মা বাবা। ওই নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার সহ কোন কিছুই ফেরৎ না দিয়ে ও প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স না করেই কয়েকদিন আগে আঁখিকে অন্যত্র বিয়ে দেয় তার বাবা মা। বিয়ে দেয়ার এ খবর জানা মাত্রই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আড়ুয়াডিহি পুত্র বধূর বাবার বাড়িতে যান রমজানের বাবা মাসহ কয়েক আত্মীয়। ওই বাড়িতে যাওয়া মাত্রই তাদের সাথে পুত্রবধূ আখির বাবা মা অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। এ ঘটনার যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

আফরোজা আক্তার আখির বাবা মোঃ আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিয়ের কাবিনে ওই ছেলের স্বাক্ষর নেই, ইটালী থেকে দেশে ফিরে তিন মাস ছিল, অথচ তার বাড়ি একবারও আসেনাই এমনকি তার মেয়ের সাথেও দেখা করে নাই। এ ছাড়া যা কিছু দিয়েছিল ওই ছেলে বাড়ি আসার আগেই সেসব তাদের বাড়ি থেকে তার মা বাবা রেখে দেয়। যে কারণে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন।

এবিষয়ে মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এখনো তার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

আরও দেখুন

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Probashir city web post