প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে জীবনগুলো ঝরে গেল, ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা গুলিবিদ্ধ। এই গুলিগুলো কিভাবে লাগল?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার বিচার আমরা করতে পেরেছি। আমার মনে হয়, এর থেকে বড় পাওয়া বাঙালি জাতির জন্য আর কিছু না যে, একটা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে; মানুষ যাতে ন্যায় পায়, সেই ন্যায়বিচারের পথটা আমরা সহজ করে দিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে উঠবে এবং যে জাতি হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত জাতি। আমরা যখন সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি, পাশাপাশি আমরা কী দেখলাম? ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, ওগুলো এখনো ছাড়েনি। সেখানে ধর্মান্ধতা এবং কূপমণ্ডুকতা দিয়ে একটা শ্রেণি কিন্তু ধীরে ধীরে সকলের অজান্তেই গড়ে উঠেছে। যারা ওই যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ছিল। দেশে গণহত্যা, লুটপাট, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এসমস্ত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে দোসর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছে।
মানুষের সাময়িক কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যেখানে এত আরামে চলতে পারতো, সেটা হয়তো করতে পারছে না। সময় লাগবে কিন্তু এক সময় সেগুলো গড়ে তোলা যাবে। কিন্তু যে জীবনগুলো ঝরে গেল, ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা গুলিবিদ্ধ। এই গুলিগুলো কিভাবে লাগল? তার পরে মিথ্যাচার! দোতলা বাড়ির মধ্যে জানালার কাছে ছেলেটা। তার গুলি লেগেছে। বলে হেলিকপ্টার থেকে গুলি লেগেছে। আপনারা বলেন, হেলিকপ্টারের গুলি ঘরের মধ্যে ঢুকবে কীভাবে? আর সেই গুলি ঢুকে কিন্তু দেয়ালে গিয়ে ফুটো করে দিয়েছে। সেখানে তদন্তের জন্য লোক গেছে। তারা দেখে, সেখানে হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করল কিভাবে!
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন পুলিশ আটকা পড়ল। যখন বিটিভিতে, এখানে-ওখানে আগুন দিচ্ছে একটার পর একটা, আমরা হেলিকপ্টার থেকে সেখানে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। কারণ ফায়ার ব্রিগেড যেতে পারে না। আমার সব থেকে আধুনিক ফায়ার ব্রিগেডের যে গাড়িগুলো, সব পুড়িয়ে দিয়েছে। মানুষগুলোকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। তখন বাধ্য হয়ে হেলিকপ্টার থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে আমরা চেষ্টা করলাম। সেই সময় আবার অনেক জায়গায় পুলিশ আটকা পড়ল। নিচে আগুন দিয়ে দিয়েছে, তারা উপরে বসে আছে। আমাদের খবর দিলো, আমরা হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের উদ্ধার করলাম। শুধু পুলিশ কেন! অনেক জায়গায় বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের যে সমস্ত কর্মকর্তারা আটকা পড়েছে, আমরা হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারপরে এই যে ঘটনাগুলো ঘটল- আজকে দেশবাসীর কাছে এরা তো মিথ্যা অপবাদ চালিয়েই যাচ্ছে। আমি ক্ষমতায় থেকে মানুষের জীবন নেব, সেটা তো কখনো হতে পারে না। কারণ আমি তো সব কিছু হারিয়েছি। আর আমার নিজের জীবনটাও তো আমি জানি না। এরাই তো বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এখন রাখে আল্লাহ, মারে কে।